ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২১ এপ্রিল এই মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে আদালতেকে অবহিত করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে যায় ডিবি।
গত ৮ এপ্রিল নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গাছা থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগার ও রিমান্ডে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন।
পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে মতিঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।